ঢাকা,শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

চকরিয়ায় পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় কর্মচারীকে মামলায় জড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
সমস্যার অজুহাতে ধার নেওয়া টাকা ফেরত চাওয়ায় কথা কাটাকাটি পরবর্তী দীর্ঘদিন ধরে মনোমালিণ্য চলছিল কিশোর দোকান কর্মচারী মোহাম্মদ আয়ুবের সঙ্গে বন্ধু নিশাদুল ইসলাম নিশাতের। এরই মধ্যে নিশাত বিভিন্নভাবে বন্ধু আয়ুবকে ঘায়েল করার মিশনে ছিলেন। আর সেই সুযোগটি পেয়ে বসেন সর্বশেষ ১৪ অক্টোবর রাতে চকরিয়া পৌরশহরের পুরাতন বাস স্টেশনস্থ হানিফ কাউন্টারে সংগঠিত একটি ঘটনার উপাদান নিয়ে। ওইদিন কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার তারাবুনিয়া এলাকার মো.মনিরুজ্জামান (৪৩) নামের একব্যক্তি ব্যবসায়িক কাজ শেষে লামার ফাসিয়াখালী থেকে ফিরছিলেন। ওইসময় তিনি চকরিয়া পৌরশহরের হানিফ বাস কাউন্টারে গন্তব্যে যেতে টিকেট নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। একপর্যায়ে ৪/৫জন যুবক এসে অতর্কিত তার উপর আক্রমন চালিয়ে নগদ টাকা, মোবাইল সেট ও কিছু ডকুমেন্ট লুটে নেয়।

ঘটনার সময় আক্রান্ত ব্যক্তির শোর-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ঘটনাস্থল থেকে নিশাদুল ইসলাম নিশাত (১৯) এক যুবককে আটক করে পুলিশে দেয়। এরপর ঘটে আটককৃত নিশাতের বন্ধু ও শত্র“ নিধনের চক্রান্ত। পুলিশের জিজ্ঞাবাসাদে আটক নিশাত বেশ কয়েক নাম সঙ্গে ঘটনায় উপস্থিত ছিল স^ীকার করে। তাতে ধার নেওয়া টাকা ফেরত চাওয়ায় আগে থেকে মনোমালিন্য থাকা বন্ধু আয়ুবের নামটিও জুড়ে দেয়। ফলে পুলিশের খাতায় আসামির তালিকায় চকরিয়া উপজেলার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের দক্ষিন ঘুনিয়া গ্রামের দরিদ্র পরিবারের সন্তান কিশোর দোকান কর্মচারী মোহাম্মদ আয়ুব আসামি হয়ে যান।
ভুক্তভোগী মোহাম্মদ আয়ুব বলেন, আমার পরিবার খুবই গরীব। আমার বাবা দিনমুজুরি করে সংসার অতিবাহিত করে। আমি একটি পাইপের দোকানের মাসিক বেতনে চাকুরী করি। মাস শেষে যে টাকা বেতন পাই তা মা-বাবাকে দিই সংসারের ঘানি টানতে। ঘটনায় আটক নিশাত আমার বন্ধু বটে। তার সঙ্গে আমার সর্ম্পক নেই একবছরের বেশি সময় ধরে। কারণ তার কাছে আমি কিছু হাওলাতি টাকা পাবো। সেই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আমার সঙ্গে ঝগড়া করে। মুলত হাওলাদি টাকা ফেরত চাওয়ায় প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে সে ঘটনার সঙ্গে আমার নাম জড়িয়ে দিয়েছে। অথচ আমি ঘটনার উপস্থিত থাকা তো দুরের কথা, উল্টো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘটনাটি দেখে আমি হতবাক। নিরীহ দোকান কর্মচারী মো.আয়ুব বলেন, আমি কোনধরণের অপরাধমুলক কাজে জড়িত নেই। দোকানে চাকুরী করে অল্প টাকার বেতন নিয়ে কোনমতে সংসারে মা-বাবাকে সহযোগিতা করি। আমি এই মামলা থেকে অব্যাহতি চাই। সেইজন্য চকরিয়া থানার সম্মাণিত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), সম্মাণিত সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) ও মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তার কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি, আমাকে বাচঁতে দিন। গরীব পরিবারের দিকে সহায়তা করুন।

পাঠকের মতামত: